১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



চট্টগ্রামে অবৈধ রিকশা ঠেকাতে বসছে বারকোড

মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম || ১৬ মে, ২০২৩, ০৯:৩৫ এএম
চট্টগ্রামে অবৈধ রিকশা ঠেকাতে বসছে বারকোড


নগরজুড়ে অবৈধ রিকশা শনাক্তের উদ্দেশ্যে বারকোড বসাচ্ছে  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। যানজট নিয়ন্ত্রণে রিকশার পেছনে এই বারকোড বসানো হচ্ছে। এর আগে,  ২০২১ সালে বারকোড বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।  চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চসিক-সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে বারকোড সংবলিত রিকশার নিবন্ধন ও লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকের মাধ্যমে ‘লাইসেন্স ফি’নেওয়ার জটিলতায় আটকে ছিল এ কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয় চসিকের। একমাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত কাজ শেষ হলেই জুলাই থেকে  রিকশায় বারকোড বসবে। 

সূত্রটি আরও জানায়, কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়াম নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বারকোড তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ১ লাখ ৬ হাজার রিকশার বারকোড তৈরি করবে। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৭০ হাজার ১০০টি পুরনো রিকশার তথ্য সফটওয়ারে আপডেট করেছে। বাকি রিকশাগুলো হবে নতুন লাইসেন্সের। 

রিকশার বারকোড নিতে হলে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) ফি ৩০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০০ টাকা ও আবেদন ফরম বাবদ ৫০ টাকাসহ মোট ৪৫০ টাকা দিতে হবে।  এরপর পাওয়া যাবে বারকোড সংবলিত রিকশার লাইসেন্স। যার মেয়াদকাল থাকবে দু’বছর। এরপর প্রতিবছর ১০০ টাকা ফি দিয়ে নবায়ন করতে হবে।  তবে লাইসেন্সের আবেদন ফরম নিতে হবে রিকশার মালিক, চালক দুই জনকেই। 

একইসঙ্গে রিকশাচালকদেরও ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড দেওয়া হবে। আর এ জন্য বাড়তি গুনতে হবে আরও ৫০ টাকা করে। যদিও প্রথম বছর রিকশাচালকদের জন্য আবেদন ফি ও কার্ড বাবদ ১০০ টাকা নেওয়া হবে। পরে শুধু কার্ডে শুধু ৫০ টাকা নেওয়া হবে। আর এসব লেনদেন হবে বেসরকারি ব্যাংক ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে।

কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়ামের সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের প্রায় সব কাজ শেষ। তবে এর আগে রিকশার লাইসেন্সের জন্য যে রেজিস্টার মেইনটেইন করা হতো, সে অনুযায়ী যাদের বিগত চার বছরের বেশি বকেয়া আছে, তাদের বকেয়াগুলো আমরা সিস্টেমে রাখছি না। তাই এ সংক্রান্ত কিছু কাজ বাকি। যার ব্যাংক জমা স্লিপ তৈরি করা হচ্ছে। আর লেনদেনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে।’

হাসানুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুরনো রিকশার মধ্যে যাদের বকেয়া রয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। এরপরই তারা ডিজিটাল নম্বরপ্লেট অর্থাৎ বারকোড পেয়ে যাবেন। আর নতুনদের বারকোড দেওয়া হবে জুলাই থেকে।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, ‘রিকশায় বারকোড বসানোর ফলে বৈধ রিকশা চেনা যেমন সহজ যাবে,তেমনি অবৈধ বাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে ট্রাফিক বিভাগ।’

চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ বলেন, ‘নতুন-পুরনো সব রিকশার বারকোড সংবলিত লাইসেন্স নিতে হবে। এ লাইসেন্সের জন্য সকল ধরনের লেনদেন হবে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে। তাদের সঙ্গে আমাদের এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন