১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



বরগুনার জেলে ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছে

বরগুনা সংবাদদাতা || ১২ মে, ২০২৩, ০৯:৩৫ এএম
বরগুনার জেলে ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছে


অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোখা। কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠছে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। মোখা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে রয়েছে। জেলেরা ট্রলার ও নৌকা নিয়ে উপকূলের নিরাপদ স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি জানিয়েছে।

জেলেরা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়েছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশে টিকতে না পেরে আমরা তীরে ফিরে এসেছি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ জেলেই তীরে ফিরে এসেছে। সমুদ্রে মাছ শিকাররত জেলেদের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়ে দেওয়া হযয়েছিল। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ সব জেলে তীরে ফিরে আসবেন বলে আশা করছি।

আবহাওয়া দপ্তর থেকে সাবধান করা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বরগুনা জেলায় ২৯৪ টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ১৪২ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা, ২ হাজার কম্বল ও ২হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন