১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



হিলিতে বেড়েছে সবজির দাম, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৫ মে, ২০২৩, ০৯:৩৫ এএম
হিলিতে বেড়েছে সবজির দাম, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ


দিনজাপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০টাকা। হঠাৎ করেই সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, বাজারে এসে চাহিদা মোতাবেক সবজি কিনতে পারছেন না। আর বিক্রেতারা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে গেছে।  তাই বাজারে আগের চেয়ে সরবরাহও কমেছে।  তারা কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে আনেন। তাই বেশি দামেই বিক্রি করছেন। শুক্রবার (৫ মে) হিলি বাজারে সরেজমিনে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. ছইমুদ্দিন বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। দেশি পেঁয়াজই ঈদের আগে কিনলাম প্রতিকেজি ৩০ টাকা করে। গত ২৯ এপ্রিল কিনলাম ৪০ টাকা কেজি দরে। আজ আর শুক্রবার ( ৫ মে) কিনতে হলো ৫০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। জানি না, ভবিষ্যতে আরও কত দামে কিনতে হবে। ’

হিলি কাঁচাবাজারে কথা হয়দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে সবজি কিনতে আসা মো, ময়েজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ট্রাক শ্রমিক। সপ্তাহে একদিন বাজারে করি। কিন্তু যেভাবে লাগামহীন দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো শ্রমজীবী মানুষদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি আলু কিনেছিলাম ৩০ টাকা কেজি দরে। আজ আজ কিনলাম ৩৫ টাকা কেজি দরে। পটল ছিল (দেশি) ৪০ টাকা কেজি। তা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। ৪০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।’

আরেক সবজি ক্রেতা চন্ডিপুর গ্রামের ভোলা বসাক বলেন, ‘হিলি পামামা পোর্টের গেটের সামনে আমার একটি ছোট হোটেল আছে। প্রতিদিন বাজারে করতে হয়। ভোলা বসাক বলেন, আলু, পটল, বেগুন, ঢেঁড়শ, বরবটি প্রতিটি কাঁচা সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তাই হোটেলে সবজির দামও বাড়াতে হয়েছে। এ নিয়ে প্রায় ক্রেতাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।’

পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি কিনতেই ৪৫ টাকা পড়ছে। আর আমরা খচুরা বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে আসবে।

সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাকিম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) হিলির হাটের দিনে প্রতিমণ আলু প্রকারভেদে ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এতে প্রতিকেজি আলুর দাম পড়ছে ৩০ টাকা কেজি। আর আমরা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

আব্দুল হাকিম আরও বলেন, ‘বেগুন, পটল, বরবটি পচনশীল দ্রব্য। এসব পণ্য কেনার পর একদিনে বিক্রি হয় না। অনেক সময় পচে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব কাঁচা পণ্যের বাজার এক থাকে না। লোকসান মেটাতে অনেক সময় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’

 এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হওয়ায় বাজারে সরররাহও অনেকটা কমে গেছে। আর সরবরাহ কম হলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি হলে ফলন বাড়বে। বাজারে সরবরাহও বেশি হবে। তখন দামও কমে আসবে।’

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন