নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ৷ এর ফলে ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়লেও নেই যানজট। এদিকে যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯শ' টাকা৷ অন্যদিকে মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের প্রায় সাড়ে ৭শ' পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে৷
মহাসড়কের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদযাত্রার গতকাল বুধবারের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে বিকেলের দিকে যানবাহনের আরো চাপ বাড়বে৷
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার যমুনা সেতু দিয়ে ৪ হাজার ৫৩৩ টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে। গত ৩ দিনে সেতুর উপর দিকে মোট ৮৭ হাজার ৯৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে৷ এতে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা৷
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যযুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে বুথ রয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে সার্বক্ষণিক যানবাহনের চলাচলের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়ককে ৪ সেক্টরে ভাগ করে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন৷ এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি। শুধু ঢাকা-টাঙ্গাইল- যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশ ৬৫ কিলোমিটার। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে এই মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা অন্যন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হয়। এ সড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে।