১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



যে কারণে ধান মাড়াইয়ে অটো মেশিনের ব্যবহার বাড়লো

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:১১ পিএম
যে কারণে ধান মাড়াইয়ে অটো মেশিনের ব্যবহার বাড়লো


দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে ধান মাড়াইয়ে অটো মেশিনের ব্যবহার। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এখন জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে আনার পর অটো মেশিন দিয়ে মাড়ায় করিয়ে নিচ্ছেন। কৃষকেরা বলছেন, অটো মেশিনে ধান মাড়াই করলে সময় ও অর্থ অনেক কম লাগে। পাশাপাশি মাড়াই করা পুরো ধান বস্তায় ভরে নেওয়া হয়। ধান নষ্ট হয় না। আর শ্রমিক দিয়ে ধান মাড়াই করলে পুরো ধান মাড়ায় হয় না। আবার গরু দিয়ে মাড়িয়ে ধান বের করে নিতে হয়।  

উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করেছি। ইতোমধ্যে কিছু জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। ধান বাড়িতে এনে অটো মেশিন দিয়ে মাড়াই করে নিচ্ছি। ১ বিঘা ( ৩৩ শতক) জমির ধান অটো মেশিনে মাড়াই করতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাগছে। এতে পুরো ধানটাই পাওয়া যায়। খুব একটা নষ্ট হয়। এছাড়াও সময়ও কম লাগে। প্রতিবিঘা জমিতে ২০ থেকে ২২ মন ধান পাওয়া যাচ্ছে। 

আরেক কৃষক বোয়ালদাড় গ্রামের মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, আগে আমরা জমি থেকে আমন ধান কাটার পর বাড়িতে এনে শ্রমিক দিয়ে মাড়াই করে নিতাম। তারপরও খড়ে কিছু ধান থেকেই যেত। পরে আবার গরু দিয়ে খুঁচিয়ে খড় থেকে ধান বের করে নিতে হতো। এখন আর শ্রমিক দিয়ে ধান মাড়াই করি না। অটো মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই করে নেই। ধান নষ্ট হয় না। আবার পুরো খড়ও পাওয়া যাচ্ছে। 

অটো মেশিনের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি তো আর নিজে মেশিন চালাই না। আমিও শ্রমিক দিয়ে কৃষকেরা ধান মাড়াই করে দেই। প্রতিবিঘা ( ৩৩ শতক) জমির ধান মাড়াই করতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে থাকি। শ্রমিকদের মজুরী দিয়ে যা থাকে । তা দিয়ে সংসার চালাই।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় ইতোমধ্যে রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। অনেক কৃষক ধান কাটার পর অটো মেশিন দিয়ে মাড়াই করছেন। এটা ভালদিক। এতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। 

আরজেনা বেগম আরও বলেন, এবার হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৮ হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদও হয়েছে ৮ হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতে। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। 



আরো পড়ুন