জলবায়ু পরিবর্তনে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও লবণাক্ততা দূরীকরণ উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করার গুরুত্বারোপ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা জোরদার করবে।’ সোমবার (১৯ আস্ট) বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দার সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। রিজওয়ানা হাসান ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দ্বিগুণ করার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভালো বিশ্ব নিশ্চিতে কাজ করার ওপর জোর দেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সংকট যা জরুরিভাবে মনোযোগ প্রয়োজন।’ তিনি যুব সমাজের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-কে আরও কার্যকর করার আহ্বান জানান।
হাই কমিশনার কুক বাংলাদেশের পরিবেশগত উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যে পৌঁছাতে যৌথ পদক্ষেপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। কুক সুন্দরবন, হাকালুকি হাওর সংরক্ষণে ব্রিটেনের চলমান প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। যুব সমাজের সম্পৃক্ততা ও সবুজ জ্বালানির দিকে রূপান্তরের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।