ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো সময় বাড়ানোর পর শুক্রবার (৫ জুলাই) মধ্যরাতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এখন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর দেশটিতে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
ইরানের নির্বাচনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি রাজধানী তেহরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, কিছু ভোটকেন্দ্রে অবিলম্বে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। তবে এখনো ভেতরে মানুষ আছেন কিংবা লাইনে অপেক্ষা করছেন, এমন কেন্দ্রে কিছুক্ষণ পরে ভোট গণনা শুরু হবে।
বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় নির্বাচন সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, আগের বারের চেয়ে এবারের ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৮ জুন) ইরানে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বানের ভোট হয়। ওই সময়ও ভোটগ্রহণের সময়সীমা নির্ধারিত সময়ের পরও ছয় ঘণ্টা বাড়ানো হয়। তারপরও কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। এজন্য নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে।
গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯ জন নিহত হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টায় দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে। তবে তিন দফা বাড়িয়ে তা মধ্যরাত পর্যন্ত নেয়া হয়। মূলত নির্বাচনে বেশি ভোটার টানতেই এই পদক্ষেপ নেয় ইরানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশজুড়ে ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটের আয়োজন করা হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ১০ লাখ। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে থেকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিলেন ইরানিরা।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন, যা একই সময় ব্যবধানে প্রথম দফার ভোটের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি।