বেড়েছে গরম-লোডশেডিং, বেড়েছে চার্জার ফ্যানের চাহিদা


তানভীর আহমেদ, সুনামগঞ্জ , : 27-04-2024

বেড়েছে গরম-লোডশেডিং, বেড়েছে চার্জার ফ্যানের চাহিদা

চৈত্র মাসের শেষ সাপ্তাহ থেকে সুনামগঞ্জে তীব্র তাপদাহ চলছে। বৈশাখ মাসে এসে এই তাপদাহে তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে গরমের তীব্রতায় লোডশেডিংয়ের সময় সিলিংফ্যান ও এসি না চলায়,একটুখানি শান্তির পরশ পেতে মানুষ ঝুঁকছে চার্জার ফ্যানের দিকে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তীব্র এই গরমের মধ্যে ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না বিদ্যুৎ সরবরাহ। এতে অনেকের বাসায় এসি কিংবা ফ্যান থাকার পরও তা ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে বাজারে চাহিদা বাড়ছে ছোট-বড় চার্জার ফ্যানের।  

এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের গরমের কারণে সব ধরনের সাধারণ ফ্যান, চার্জার ফ্যান বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। বিক্রেতারা বলছেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ ফ্যানের চেয়ে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। তবে, এসির চাহিদাও আগের চেয়ে বেড়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সুনামগঞ্জ সদর বাজার থেকে চার্জার ফ্যান কেনার পর দেখা হয় নাহিদ রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রামে থাকি, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ থাকে না, যার কারণে বাধ্য হয়ে চার্জার ফ্যান কিনেছি। তবে দাম গরমে অনেক বেশি ফ্যান প্রতি ৩-৪ শ টাকা বেশি লাগে।’

পৌর শহরের নতুন পাড়ার বাসিন্দা হিমেল হোসাইন বলেন, ‘গত বছর যে সিলিং ফ্যান কিনছি ২ হাজার ২০০ টাকায়, সেই ফ্যানই এখন ২ হাজার ৫০০-২ হাজার ৬০০ টাকা। বাজারে চাহিদা থাকায় বেশি দামে ফ্যান বিক্রি করা হচ্ছে।’

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া আলী নূর ও রিয়াজ থাকেন মেসে। তীব্র এই গরমে বাসায় কোনো ফ্যান না থাকায় তারা বাজারে এসেছেন ফ্যান কিনতে। সিলিং ফ্যানের দাম জিজ্ঞেস করতেই তারা হিমশিম খেয়েছেন। দামাদামি করে ২ হাজার ৪৫০ টাকায় একটি সিলিং ফ্যান কিনে বাসায় ফেরেন। 

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মেসার্স তাহসিন ইলেকট্রনিকসের পরিচালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তীব্র গরমের মধ্যে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির চার্জার ফ্যান ও সিলিং ফ্যান আছে। ক্রেতারা সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্যান কিনছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রকারভেদে দাম কমবেশি আছে, ছোট চার্জার ফ্যান ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। কোনো কোম্পানির ফ্যান ৪ হাজার টাকায়ও বিক্রি করছি। আবার কোনো কোম্পানির সিলিং ফ্যান ২ হাজার ৯০০ টাকা, কোনোটা ৩ হাজার টাকা ও আবার কোনো ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৮০০ টাকায়ও বিক্রি করছি।’

নাহিয়ান টেলিকমের পরিচালক সহিবুর রহমান সুহেব বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানি গরম শুরু হওয়ার আগেই অনেক পন্যের দাম বাড়িয়েছে, তাই আমরাও কিছু বেশি দামে বিক্রি করছি ফ্যান৷’

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি ইলেকট্রনিকস শো-রুমের পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এই জেলা হাওরবেষ্টিত হওয়ায় এসির চাহিদা তেমন বেশি নাই। তবে ফ্যানের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা স্বল্প লাভেই বিক্রি করার চেষ্টা করছি।’

সুনামগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, ‘বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করলে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: [email protected]