এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে রসুনের দাম। প্রতিকেজির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমছে। একসপ্তাহ আগে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ) প্রতিকেজি রসুন ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। ২০০ টাকার নিজে নেমে আসায় স্বাস্তি ফিরেছে তাদের মনে। তবে আরও একটু কমলে ভালো হতো। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন দেশি রসুন ওঠায় কমতে শুরু করেছে রসুনের দাম।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) হিলি বাজারে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি রসুন ১৮০ টাকা কেজি ও ভারতীয় রসুন প্রকারভেদে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রসুন কিনতে আসা মো. খবির উদ্দিন বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন কিনেছি ২৪০ টাকায়। আর আজ কিনলাম ২০০ টাকা কেজি দরে। ১৯০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় রসুনও আছে। তবে সেগুলো সাইজে একটু ছোট। তাই ১০০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রামে রসুন কিনলাম।’
আরেক রসুন ক্রেতা আব্দুল ওহাব বলেন, ‘হিলিতে রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। তবে আরও একটু কমলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ভালো হতো। আমি দেশি রসুন কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি দরে। একসপ্তাহ আগে বাজারের দেশি রসুন না থাকায় বাধ্য হয়ে ভারতীয় রসুনই কিনতে হয়েছিল ২৪০ টাকা কেজি দরে।’
হিলি বাজারের পাইকারি রসুন বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘কিছুদিন হলো বাজারে দেশি রসুন আসতে শুরু করেছে। এরআগে আমরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন ২২০ টাকায় কিনে পাইকারি ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর খুচরা বিক্রেতারা ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এখন দেশি রসুন বাজারে আসায় কমতে শুরু করেছে ভারতীয় রসুনের দাম। গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকায় কিনে ১৯০ টাকায় বিক্রি করি। আজ খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি ভারতীয় রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘দিনদিন বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়বে। আর কমবে ভারতীয় রসুনের দাম। আজ হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি রসুন প্রকারভেদে আমরা পাইকারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় কিনছি। আর বিক্রি করছি ১৭০ টাকা টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা কেজি দরে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/