ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের হিলিবাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না। ফলে কমে গেছে পণ্য বিক্রি। আর ক্রেতারা বলছেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০ পর্যন্ত কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই তারা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) হিলিবাজারে কথা হয়, চণ্ডিপুর গ্রামের যতিন বসাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঠাণ্ডার কারণে বাড়ি থেকে
বের হওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বাড়িতে তরকারি করার মতো সবজি নেই। তাই বাজারে এলাম। দ্রুত বাজার সেরে বাড়িতে ফিরে যাবো।’
কালীগঞ্জ গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাজারের পাশেই বাড়ি। তারপরও কুয়াশা আর শীতের কারণে বাজারে আসায় কঠিন হয়ে পড়েছে। রাতে ঘরের বৈদ্যুতিক বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাতি কিনতে বাজারে এসেছি।’
চাল ব্যবসায়ী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বিক্রি কমে গেছে। মানুষ বাজারেই আসছে না। সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। ১০ কেজি চালও বিক্রি করতে পারিনি। তারপর তো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিক্রি না হলেও খুলে বসে থাকতে হচ্ছে। দেখি দুপুরের পরে কী হয়।’
সবজি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ব্যবসায় আমাদের পেশা। বিক্রি না হলেও সকাল থেকেই দোকান খুলতে হয়। সবজির দোকান তো কমবেশি বেচাকেনা হয়। তবে শীতের কারণে আগের চেয়ে বিক্রি অনেকটা কমে গেছে।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘শীতের তীব্রতা কমে গেলে হয়তো বেচা-বিক্রি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/