বড় হার দিয়ে এশিয়ার বিশ্বকাপ শুরু করলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে হেরে তারা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
পাল্লেকেলের পরিসংখ্যান বলছিল টসে জিতে বোলিং নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ম্যাচের আগে থেকেই গলার কাঁটা হয়েছিল বৃষ্টির আশঙ্কা। যে বিপদ জেনেও ঝুঁকি নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলপতি সাকিব আল হাসান। টসে জিতে নিয়েছিলেন ব্যাটিং।
কিন্তু সেই ঝুঁকি নেওয়াটা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সেটির প্রমাণ মেলে প্রথম ইনিংসেই। প্রথম ১০ ওভারে লঙ্কান বোলারদের টুটি চেপে ধরা বোলিংয়ে মাত্র ৩৪ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। বিপরীতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নেয় শ্রীলঙ্কান বোলাররা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানে অল-আউট হয় সাকিব আল হাসানের দল। মহিশ থিকশানার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডাব্লিউ হন অভিষিক্ত তানজিদ তামিম (০)। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও আউট হন ২৩ বলে ১৬ রানে। অধিনায়ক সাকিব ৫ রানে ফিরলে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৫৯ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল। সেই আশা দূরাশায় পরিণত হয় ৪১ বলে ২০ রান করা হৃদয়ের বিদায়ে। রিভিউ নিয়ে তাকে লেগ বিফোর করে শ্রীলঙ্কা।
৯৫ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হলে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক। এই জুটিও সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু পারলেন না মুশফিক। পাথিরানার বলে করুনারত্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ১ বাউন্ডারিতে ১৩ রান। পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে ৩২ রানে। সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন শান্ত। পরের ব্যাটারদের মধ্যে মিরাজ (৫), শেখ মেহেদি (৬) কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শান্তর ১২২ বলে ৭ চারে ৮৯ রানের ইনিংস শেষ হয় মহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে। এরপর পাথিরানার বলে মুস্তাফিজ (০) এলবিডাব্লিউ হলে ৪২. ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাথিরানা নেন ৩২ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা।
এদিকে, ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারেনি টাইগারর বোলাররা। তবু সাকিব-তাসকিন-শরীফুলরা কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এনে দিয়েছেন।