দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। একসপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। একসপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকেই প্রকার ভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বর্তমানে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রি করছি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে বর্ষার কারণে পেঁয়াজ বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পেঁয়াজ ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতাসহ আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ( ১০ আগস্ট ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৩০ টাকা কেজি দরে। আর আজ বৃহস্পতিবার কিনতে হলো ৪৫ টাকা করে। তারপরও পেঁয়াজের মান খুব একটা ভালো না।’
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, ‘আমদানি শুরুর পর থেকে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহও কম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম দিন দিন বাড়ছে।’
আমদানিকারক মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদিত এলাকায় বর্ষার কারণে আমদানি কমে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ইন্ডিয়াতে। এ ছাড়াও, গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। পাশাপাশি সরকার পার কেজি পেঁয়াজে ট্র্যাক্স নির্ধারণ করেছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। পেঁয়াজের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। তবে আগের চেয়ে আমদানি কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হতো, এখন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ গাড়ি পেঁয়াজ বন্দরে ঢুকছে। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য। তাই পেঁয়াজের জন্য পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে। যাতে আমদানিকারকেরা দ্রুত পেঁয়াজ খালাস করতে পারেন।’
উল্লেখ্য, দেশের পেঁয়াজ চাষিদের কথা বিবেচনা করে সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠায় আবারও আড়াই মাস পর ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। তারপর থেকে স্বাভাবিকই ছিল পেঁয়াজের বাজার। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল প্রকারভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
ঢাকা বিজনেস/এইচ