ভোলা জেলায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন-সূত্র জানায়, নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ বাড়ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অনেকের ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানান, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর, চর মোহাম্মদ আলী, কন্দবপুর, মেদুয়া, দাইয়া, কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর, চর মদনপুর, নেয়ামতপুর, তজুমদ্দিনের চর জহিরুদ্দিন, চর মোজাম্মেল, মনপুরার কলাতুলি চর, চরফ্যাশনের ঢালচর, চর নিজাম, কুকরি-মুকরি ও চর পাতিলা গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে জোয়ার চলে গেলে পানি নেমে যায়।
সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু বলেন, ‘প্রত্যেক বর্ষা মৌসুমেই বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল অতিরিক্ত জোয়ার এলেই মেঘনার পানিতে প্লাবিত হয়। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। আশার কথা হলো- এখানে নতুন বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা বরছি আগামী বর্ষায় এ সমস্যা আর থাকবে না।’
দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন, বারেক হাওলাদার, রফিক মিয়া বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) ১২টার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ৩-৪ ঘণ্টা আমাদের পানিবন্দি থাকতে হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। ’
একই গ্রামের গৃহবধু আসমা আক্তার ও নার্গিস বানু জানান, পানিতে তাদের রান্না ঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্নায় সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের জোয়ারে তাদের দুর্ভোগ বেশি বাড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আজ দুপুরের দিকে জোয়ার আসা শুরু করেছে। অতি জোয়ারে বাঁধের বাইরের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাটার সময় আবার পানি নেমে যাচ্ছে। আরও ২-৩ দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে। তবে অতি জোয়ারে বাঁধের কোনো সমস্যা হয়নি।’
ঢাকা বিজনেস/এম