লালমনিরহাটের সৌরবিদ্যুৎ যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডেও


ফারুক আলম, লালমনিরহাট , : 18-07-2023

লালমনিরহাটের সৌরবিদ্যুৎ যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডেও

লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার শৌলমারির চরে সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে ইন্ট্রাকো সোলার লিমিটেড। ২০২০ সালে শুরু করা কাজ শেষ হয় ২০২২সালে।  ওই বছর ২৮ আগস্ট  সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এই সৌরবিদ্যুৎ প্লান্টের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে ইন্ট্রাকো সোলার।

এর আগে রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলায় প্লান্ট স্থাপনের কাজে হাত দেয় ইন্ট্রাকো। তবে ওইসময় বন্যা ও নদীভাঙনে সেই চরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর কালিগঞ্জের শৌলমারির চরকে তারা বেছে নেয়। সরকারের ৫২.০২  একর ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে  নেওয়া ৬৩ একর জমির ওপর প্লান্ট স্থাপন শুরু হয়। এ সময় নদী শাসনসহ বেশ কিছু কাজ করে ইন্ট্রাকো। ওই চরে সড়ক তৈরি ও দালানসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।   

ইন্ট্রাকোর চিপ ইঞ্জিনিয়ার আকমল হোসেন বলেন, ‘৮৭ হাজার প্যানেল বসানো আছে। ৯টি ব্লকের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ দিনের বেলা নেসকোর লাইনে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে চলে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  বেশি বিদ্যুৎ দিতে পারছি। এ সময় লালমনিরহাট ছাড়িয়ে রংপুর অঞ্চলেও এই বিদ্যুৎ যায়। সরকারের সঙ্গে যুক্তি অনুযায়ী আমরা ২০ বছর বিদ্যুৎ দেবো। তবে, আমাদের ২৫ বছরের ডিজাইন করা আছে।’

নেসকো বলছে, কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদিন পিকআওয়ারে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। রাতে কম লাগে। এর থেকে বাকি বিদ্যুৎ চলে যায় লালমনিরহাট সদর,পাটগ্রাম, আদিতমারী ও হাতিবান্ধায়।

লালমনিরহাট রেশকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘কালিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ মেগাওয়াট। বাকি বিদ্যুৎ অন্য উপজেলাগুলোতে যায়।’

 ঢাকা বিজনেস/এনই/


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: [email protected]