কাঁচামরিচের পর এবার দিনাজপুরের হিলিতে দাম বাড়তে শুরু করেছে আলুর। এক সপ্তাহের ব্যবধান প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বৃহস্পতিবার ( ৬ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কেজিপ্রতি দেশি আলু ৫০ টাকা ও কাঠিলাল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
খুচরা বিক্রেতরা বলছেন,পাইকারিতে বেশি দামে কিনছেন তারা। তাই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্চে আলু। এদিকে পাইকারি আলু বিক্রেতারা বলেছেন, এখন বাজারে যেসব আলু বিক্রি হচ্ছে সবই হিমাগারের আলু। কৃষকের ঘরে আলু নেই বললেই চলে। হিমাগার থেকে বেশি দাম আলু কিনতে হচ্ছে । তাই আলুর দাম বেশি পড়ছে।
হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আব্দস সামাদ বলেন, ‘কমবেশি প্রায় সব তরকারিতে আলু থাকেই। দুই এক দিন পর পর আলু কিনতেই হয় কিন্তু গত ১ সপ্তাহের ব্যবধান আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়েছে। গত বুধবারেও ( ১ জুলাই) বড় সাইজের ২কেজি আলু কিনি ৩৫ টাকা কেজি দরে। আজ ১ কেজি আলু কিনলাম ৫০ টাকা দিয়ে।’
আরেক ক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঠিলাল লম্বা জাতের আলু কিনি ৩০ টাকা দরে। আজ কিনতে হলো ৪০ টাকা কেজি দরে। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান চালানো উচিত। না হলে দাম আর কমবে না।’
খুচরা আলু বিক্রেতা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় পাইকারের কাছ থেকে আলু কিনে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রতিকেজি দেশি আলু ৪৮ টাকা কিনে ৫০ টাকা কেজি ও কাঠিলাল আলু ৩৭ কেজি কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি।’
হিলি বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা মো. ফজলুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলি বাজারের সব আলু হিমাগার থেকে আনা। হিলিতে কোনো হিমাগার নেই। আমাদের জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও বগুড়ার শিবগঞ্জ হিমাগার থেকে আলু কিনে আনতে হয়। ঈদের পরে থেকে বেশি দাম আলু কিনতে হচ্ছে। ঈদের আগেও আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল।’
ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘কাল বুধবার ( ৫ জুলাই) প্রতিকেজি দেশি আলু কিনতে হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে আর কাঠিলাল আলু আকার ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিদরে। এরপর আছে পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, সরকারি খাজনা, নিজের খরচ। সব খরচ বাদ দিয়ে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা লাভ থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমবে না।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/