কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের আকাশে রোদের দেখা মিলেছে। টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভারী বর্ষণে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। তবে বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এতে নিম্নাঞ্চলের মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
রবিবার (২ জুলাই) সকালে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকার ১০০ মিটার সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। সেই সঙ্গে সড়কের আনোয়ারপুর সড়কের কিছু অংশও ডুবে যায়। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের দুটি অংশে পানি থাকায় জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। তবে মঙ্গলবার থেকে উজানের পানি নামতে শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন সোমবার একই সময়ে এখানে পানি ছিল বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৫০ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছিল ১৭০ মিলিমিটার। সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, ‘যেভাবে পানি বাড়ছিলো মনে ভয় ডুকে গেছিলো। এক দিনেই সব ডুবে যাবে, এখন রোদ ওঠায় সেই ভয় কেটে গেছে।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ‘এখনো বন্যা পরিস্থিতি হয়নি। যদি এ রকম পরিস্থিতি হয়, সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।’