একটুখানি বৃষ্টি হলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর এলাকা ডুবে যায় হাঁটু পানিতে। স্থানীয়রা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর এলাকার নিচু অঞ্চল ছাড়াও অলি-গলিসহ প্রধান সড়কগুলোও পানিতে থৈ থৈ করে। অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। এসব অভিযোগের জবাবে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।
রোববার (১৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তায় হাঁটুপানি জমে গেছে। ফলে কোথাও-কোথাও যানবাহন আটকা পড়ে আছে। শহরের ফুলবাড়িয়া শ্যামলী বাড়ি মোড়, খৈয়াসার বাসস্ট্যান্ড, মুন্সেফপাড়া, শান্তিবাগ, পোয়াপুকুর পাড়, শেরপুর মাজার রোড, ট্যাংকের পাড় মোড় পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুষলধারে বৃষ্টি হলে পয়ঃবর্জ্যে সয়লাব হয়ে যায় আটকে থাকা পানি। অনেক জায়গায় বর্জ্যের অংশ ড্রেনে আটকা পড়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও ফুলবাড়িয়া নিবাসী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘১২ মাসই শ্যামলী বাড়ি মোড়ে পানি জমে থাকে। ক্রিসেন্ট স্কুল থেকে শ্যামলী বাড়ি মোড় হয়ে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটি দ্বীর্ঘ ৪ বছর ধরে সংস্কার করা হয় না। এছাড়া ড্রেনেজের বেহাল অবস্থা, ড্রেনগুলো ময়লা ও মাটিতে ভরাট হয়ে আছে, প্রায় ৩/৪ মাস ধরে পরিষ্কার করা হয় না। শ্যামলী বাড়ি মোড়ে প্রায় ১৫০ মিটার ড্রেন ভেঙে গেছে, যা সংস্কার করা জরুরি। ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।’
শান্তিবাগ এলাকার দোকানি সালাম মিয়া বলেন, ‘আধা ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই এলাকার রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব খারাপ। ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। তাই বৃষ্টি থামার পরও পানি নামতে সময় লাগে। আর কষ্ট নিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকার মানুষদের।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ‘শহরের অধিকাংশ রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ চলছে। আর সে কারণে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আজকে যেসব স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল, পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব এলাকার পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মো. আব্দুল কুদদুস আরও বলেন, ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কাজ চলছে। যে কারণে শহরের অনেক ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন বাজেটে ১ কোটি ৮৪ লাখের একটু টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই