দেশে গত ৬ মাসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ৭৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)-এর সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
ডন বলেন, ‘যেসব ব্যবসায়ী ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির ব্যবসা করেন, তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো ব্যাংকের মালিক। ফলে এলসি খুলতে তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য যারা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করেন, তাদের ব্যাংক নেই। তাই ডলার সংকটে তারা এলসি খুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ কারণে গত ছয় মাসে মাত্র ২ হাজার ৮০০ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়েছে। যেখানে ছয় মাসে সাধারণত ১০ থেকে ১২ হাজার গাড়ি আমদানি হয়ে থাকে। এ হিসাবে ৭৫ শতাংশের মতো গাড়ি আমদানি কমেছে।’
বারভিডার সভাপতি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই এখন আর্থিক সংকট চলছে। বাংলাদেশেও এর আঁচ পড়েছে। এ কারণে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক রাখতে সরকার অনেক বিলাসপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করেছে। অচিরেই ডলার সংকট কেটে যাবে।’
ডন বলেন, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দিয়েছিল রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকরা। কিন্তু বাজেটে হাইব্রিড কার ও জিপ আমদানিতে শুল্ক না কমানোয় এ খাতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
এদিকে পরিবেশ সুরক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেন তিনি। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন যেন একদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে দেয়া হয় সে ব্যাপারেও অনুরোধ করেন এ গাড়ি ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবদুল হক প্রমুখ।
ঢাকা বিজনেস/এনই