আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ। খামারিরা জানান, গো-খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু আসা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক গবাধি পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা। এবার জেলায় বেড়েছে খামারির সংখ্যা। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ করছেন। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের কোরবানির পশু রয়েছে।
খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। ইতোমধ্যে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। প্রতি কেজি ভুট্টার ভুষি আগে ২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩৮/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাইলেজ প্রতি কেজি ৭/৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০/১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি গরু আগে ৭/৮ হাজার টাকায় লালন-পালন করা গেলেও এখন ১৪/১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন খামার মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে তারা ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন।
এদিকে, জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিকে হাতে-কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন ‘খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রি বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে ঈমাম ও খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/