চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই উপনির্বাচনে একজন স্বতন্ত্রসহ ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, স্বতন্ত্র হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমজান আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপির) আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা ও ইসলামিক ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।
নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। মোট ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি’র) পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনি এলাকায় শূন্য আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ভোটকেন্দ্র ১১২টি যা চাঁন্দগাও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এবং সিটি করপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। বাকি কেন্দ্র বোয়ালখালী উপজেলায়।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ডিবির মোবাইল টিম মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া তিন প্লাটুন বিজিবি ও তিন প্লাটুন রয়েছে। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। তিনিও ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা গেলে চলতি মেয়াদের প্রথম দফায় আসনটি শূন্য হয়েছিল।
ঢাকা বিজনেস/এইচ