দিনাজপুরের হিলি থেকে ঘোড়াঘাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চালকসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের। স্থানীয়দের দাবি, মেরামত করা হলেও একটু ভারী যানবাহন চলতে পারে না। মাঝে মাঝে পিচ উঠে গেছে, দেবে গেছে, কোথাও আবার এত উঁচু করা হয়েছে যে, গাড়ি উঠতে পারে না এবং মেরামতের জায়গায় পিচ ঢালাইও দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়কটি ইতোমধ্যে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। তবে, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ভারী যানবাহনের জন্য উপযোগী করা হবে।
জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি পয়েন্ট এইচবিবি করণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে সড়কটি। তবে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য যথেষ্ট নয়।
ট্রাক ড্রাইভার আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় হিলি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে হিলি- ঘোড়াঘাট হয়ে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করি। আগে হিলি থেকে ঘোড়াঘাট পর্যন্ত ৪৫টি বড় বড় গর্ত ছিল। কিছুদিন আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ গর্তগুলো এইচবিবি করণের মাধ্যমে মেরামত করে সাধারণ যানবাহনের চলাচলের জন্য উপযোগী করে। এইচবিবি করণের স্থানগুলো এত উঁচু করা হয়েছে যে, ভারী যানবাহন উঠতে খুব বেগ পেতে হয়। আবার নামার সময়ও উল্টে যাবার ভয় থাকে।’
মাইক্রোবাস চালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘এই সড়কে ছোট যানবাহন চালাতে বেশি কষ্ট হয়। ৩০ কিলোমিটার সড়কে ৪৫টি জায়গায় এইচবিবি করণের মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। তবে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করতে খুব সমস্যা হয়। জায়গাগুলো বেশি উঁচু করার কারণে ছোট যানহানের নিচের অংশ অনেক সময় সংস্কার করা জায়গাগুলোতে আটকে যায়। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। লোকজন দিয়ে ঠেলা দিয়ে পার হতে হয়। এভাবেই চলাচল করতে হয় এই সড়ক দিয়ে।’
মোটরসাইকেল চালক আমির হোসেন বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলের গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের ওপর তোলা যায় না। এক কিলোমিটারের মধ্যেই দু’টি এইচবিবি করণ। বাইকের গতি তুলতেই সামনে আরেকটি এইচবিবি করণ। হিলি থেকে ঘোড়াঘাট ৩০ কিলোমিটার যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগে।’
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল আজিজ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলি-ঘোড়াঘাট ৩০ কিলোমিটার সড়ক ইতোমধ্যে এইচবিবি করণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। আশা করছি, অচিরেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সড়কের কাজ শুরু করা হবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
ঢাকা বিজনেস/এম