রপ্তানিতে দেশের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রপ্তানি বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন বাজার বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।’ ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’প্রদান উপলক্ষে শনিবার (১৫ এপ্রিল) এক বাণীতে তিনি এসব একথা।
রোববার (১৬ এপ্রিল) ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০’ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি, সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, বেসরকারি খাতকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রপ্তানি বাণিজ্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সব প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়ে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হলে, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণে তা সহায়ক হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোট রপ্তানি আয় ছিল ১৫.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরসমূহে অব্যাহত নীতি সহায়তার ফলে কয়েক গুণ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬০.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম জুলাই-ফেব্রুয়ারি পণ্য খাতের অর্জিত আয় ৩৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় ৩৩.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৯.৫৬ শতাংশ বেশি।’
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই/