এক সপ্তাহে টার্নওভার কমলো ৬৫৭ কোটি টাকা


মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান , : 13-04-2023

এক সপ্তাহে টার্নওভার কমলো ৬৫৭ কোটি টাকা

সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে (৯-১৩ এপ্রিল) টার্নওভার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। মূলত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কোনো পলিসি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অনুসরণ না করায় মার্কেটের টার্নওভার কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৮ টাকা। আর গত সপ্তাহে (২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল ২০২৩) টার্নওভার ছিলো ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে টার্নওভার কমেছে ৬৫৭ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ২৫৭ টাকা। অর্থাৎ ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে টার্নওভার। 

এদিকে ডিএসইতে একটি বাদে সব সূচক বেড়েছে। ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিলো ৬ হাজার ২১৪ পয়েন্ট। আর বিদায়ী সপ্তাহে তা এসে দাঁড়েয়েছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্ষেত্রে সূচক বেড়ে ০ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ ০ দশমিক ০২ শতাংশ সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএসই৩০ সূচক গত সপ্তাহে ছিলো ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্ট। 

বিদায়ী সপ্তাহে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০১ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ০৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ ০ দশমিক ১৪ শতাংশ সূচক বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ০ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স শরিয়াহ্ সূচক ছিলো ১ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট। বিদায়ী সপ্তাহে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৫২ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সূচক গত সপ্তাহের তুলনায় সদ্য বিদায়ী সপ্তাহে ০ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪০১ টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৪৭ টির, কমেছে৮৪টির এবং অপরিবর্তিতি রয়েছে ২৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর। ৩১ টি কোম্পানির কোন লেনদেন হয়নি।  

এদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীর বলেন, বর্তমান কমিশনের কোন আদেশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট কেউই মানছেন না। ফলে বেশির ভাগ সময় মার্কেট ডাউন ট্রেন্ডে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যদি হাতি গুটিয়ে বসে না থাকতো তবে মার্কেট অনেক আগেই চাঙা হতো।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-সূত্রে জানা গেছে, সিএসইতেও বিদায়ী সপ্তাহে টার্নওভার কমেছে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট টার্নওভার ছিলো ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৬ হাজার ৪১৯ টাকা। যা বিদায়ী সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৭ টাকা। এক্ষেত্রে টার্নওভার কমেছে ৩ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৭২ টাকা। তবে টার্নওভার কমলেও সিএসইতে একটি বাদে সব সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএএসপিআই ছিলো ১৮ হাজার ৩০৪ পয়েন্ট। 

বিদায়ী সপ্তাহে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩১ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে সূচক বেড়েছে ০ দশমিক ১৪ পয়েন্ট। সিএসই৩০ সূচক গত সপ্তাহের তুলনায় ০ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়েছে। এছাড়াও বিদায়ী সপ্তাহে সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট, সিএসই৫০ সূচক ০ দশমিক ০৫ পয়েন্ট এবং  সিএসইআই ০ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে সিএসইএসএমইএক্স গত সপ্তাহের তুলনায় বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে। গত সপ্তাহে সিএসইএসএমইএক্স গত সপ্তাহে ছিলো ১ হাজার ৭৪৮ পয়েন্ট; বিদায়ী সপ্তাহে যা এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭২৪ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। 

বিদায়ী সপ্তাহে মোট ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিলো ১৩৩ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদুল হক ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘রোজার মাসে সাধারণত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কম হয়। ফলে টার্নওভার কমে যায়। ’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘মার্কেটের টার্নওভার কমার পেছনে নতুন কোনো কারণ দেখছি না। আগের নিয়মেই মার্কেট চলছে। টার্নওভার কমেছে।’

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘মার্কেটে টার্নওভার কমার পেছনের কারণ বলতে পারবো না। তবে মার্কেট ভালো করতে আমরা সব সময় পলিসি দিয়ে যাচ্ছি। কমিশন মার্কেটে বিনিয়োগ করতে ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন কোম্পানিকে বলছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com