ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টায় পদ্মা বহুমুখী সেতুতে শুরু হয় পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচল। এতে যাত্রী হয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নির্মিত রেলপথসহ প্রকল্পের সার্বিক কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে আমাদের এই প্রকল্পের প্রাথমিক সফলতা ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল রান করছি। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। আগামী বছর নির্ধারিত সময়ের (২০২৪ জুন) মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ভাঙ্গা থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষ ট্রেনটি চলাচল করবে এ ৪২ কিলোমিটার রেলপথেই।
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখা হবে। এ পথে ১২০ কিলোমিটার গতি থাকলেও টেস্ট-রান করা হবে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাংকার ট্রেনটি ভাঙ্গা থেকে রওনা হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মাওয়া আসবে। এটি মূলত নির্মিত রেলপথ ইন্সপেকশনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।