এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচামরিচ দাম কমেছে কেজিতে ৪ টাকা। রোববার (১৯ মার্চ) ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে রোবাবার (১২ মার্চ) প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে। এই হিসেবে কাঁচামরিচের কেজিতে দাম কমেছে অর্ধেক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। তাই দাম কমেছে।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে তরকারিতে কাঁচা মরিচের প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভর্তা ও সালাদেও কাঁচামরিচের ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু কিছুদিন ধরে কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বগতির কারণে কেনাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। গত রোববার ( ১২ মার্চ) ৮০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। আর আজ (১৯ মার্চ) দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৪০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি কিনলাম। কাঁচাপণ্য তো কোন সময় আবার বেড়ে যায় বলা মুশকিল।’
জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘তারমধ্যে সামনে রোজার মাস। রোজায় এমনিতেই সবপণ্যের বাজার বাড়ে। তাই একটু বেশি করেই কিনে রাখলাম। ’
আরেক ক্রেতা মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘গেলো কয়েক মাস ধরেই কাঁচা মরিচের দাম ওঠানামা করছে। যখন বাড়ছে তো লাফিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। আজ একটু দাম কম। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব খান বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম ছিল। তাই প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। আজ সরবরাহ বেড়েছি। তাই কেজিতে ৪০ টাকা কমে বিক্রি মাত্র ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
বিপ্লব খান আরও বলেন, ‘হিলিতে কাঁচা মরিচ আসে বগুড়া-পঞ্চগড়, ডোমার, নীলফামারী থেকে। সেসব এলাকায় কাঁচা মরিচের আবাদ বেড়েছে। এ কারণে সরবরাহও বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। পাইকারি কিনেছি ৩৫ টাকা কেজি দরে। বিক্রি করছি ৪০ টাকায়।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/