দ্বিজ বলিহারি
প্রেম নয়, নারী চায় পূজা
কৃষ্ণবিবর কি কবর?
সর্বত্রই তার স্তোত্রগান
রচবে প্রেমিক প্রবর
মেটাতে মনোসুখ।
বেগানা পুরুষের কাছে
চায় সে প্রগলভতা
সমর্পণ করে বাহুডোরে
মেটাতে রতিসুখ।
আজকের পৃথিবীতে প্রেমিকের চেয়ে
কামুকের চাহিদা অযুত আকর্ষক!
একবার ঠকলে আদম
অভিমানে যায়না হাওয়ার ইডেনে
বেহায়া ইবলিশ যায় বারবার
অযুত-নিযুত শ'তোবার।
যৌনতা এখন নারীর দোনলা বন্দুক!
যার একনলে সে শিকারের টোপ ফেলে
অন্যনলে ঘায়েল করে।
একাধারে যে নারী
মনোসুখে চায় প্রেমিক
রতিসুখে চায় কামুক
সে দ্বিজ বলিহারি!
জেলিফিশ
বরং তৃণ হয়ে যাও তুমি।
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
আমি বৃষ্টি হয়ে আছড়ে পড়ি
দূর্বাদলঘন বিস্তৃত
কোমলাস্থিময় জেলিফিশে তোমার।
এ-ও এক নির্জন জার্নি বটে!
ভাসিয়ে নেবে
ভাসিয়ে দেবে
প্লাবণসুখে
অবারিত মিলন মোহনায়।
জলেই হও তুষ্ট জানি
নোনাজলের ক্ষণজন্মা পরিব্রাজিকা
তাই করো বৃষ্টির প্রার্থনা
আমিও গোবি সাহারা হয়ে
তোমার তুন্দ্রা অঞ্চলে
ঘটিয়ে তুমুল বারিপাত
হই কোমল নিহত।
গ্রাফটিং ফ্লাওয়ার
ফুল ভেবে দেশকে আমরা
এর শেকড়ে দিলাম জল
সুরভির আশায়।
রাজনীতির ভ্রমর সেই ফুলে
মধু আহরণে মশগুল
প্রতিক্ষায় থাকলাম আমরা
মৌচাকের আশায়।
ফুলের পাপড়ির রঙ
বিভ্রমে রাখলো আমাদের
রঙের আশায় উন্মুখ
বসন্ত এলো না আমাদের ঘরে।
মড়ক লাগলে ফুলে
মর্মাহত হলাম আমরা
টনক নড়লো না কারো
আক্ষেপে ফুটলো বিষহুল।
পাপড়ি ঝরলে সেই ফুলের
সটান দাঁড়িয়ে থাকলো বোঁটা
গ্রাফটিং করে ফুটালাম উন্নত ফুল।
কলহ মিটলো না তবু আমাদের!