দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, ৭৫ সালের পর থেকে যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে আর আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে নির্বাচন হয়েছে, অন্তত সেই ধরনের চুরি, ভোটকেন্দ্র দখল করা, কারচুপি করার সুযোগ তো এখন নেই।’কাতারে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে গত ৪ থেকে ৮ মার্চ কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।
সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আছে, সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘ইভিএম করতে চেয়েছিলাম। কারণ সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেবে, সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবে। এখন ঠিক আছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর, তারা যতটুকু পারে করবে। পুরোটা করতে পারলে ভালো হতো, অন্তত মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারতো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা আধুনিক পদ্ধতি মানুষ ব্যবহার করতে পারতো। সেটা নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা, আমরা এই বিষয় নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
দেশে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এটা কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সেটা মোকাবিলা করবে আমাদের জনগণই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। অনেক ধৈর্যের দরকার। অনেক গালমন্দ, অনেক কিছুই তো শুনতে হয়। প্রতিনিয়ত সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। এর আগে তো এতো টেলিভিশন ছিল না, এতো রেডিও ছিল না। আমরাই সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশ বিদেশ থেকে বসে বসেও আমাদের সমালোচনা করে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে আমাদের সমালোচনা করে। আবার শুনতে হয়, কিছুই করি নাই।’
এর আগে, গত ৪ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্টে তিনি অংশ নেন।
গত ৫ মার্চ জাতিসংঘ সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) আয়োজিত ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন : ম্যাচিং টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাদের সামনে ৫দফা সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।