১৪ বছরে ডালের উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে: কৃষি সচিব


স্টাফ রিপোর্টার , : 11-02-2023

১৪ বছরে ডালের উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে: কৃষি সচিব

বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে বিগত ১৪ বছরে ডালের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ডাল উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু ডালের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। ফলে প্রতিবছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মেট্রিক টন ডাল আমদানি করতে হয়। এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।’ 

সচিব বলেন, ‘মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টিচাহিদা মেটাতে ডালের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ডাল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

কৃষি সচিব বলেন, ‘ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য, এটির উৎপাদনে গুরুত্ব বেশি দিতে হয়। ধানের সঙ্গে ডালসহ অন্যান্য ফসল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। সেজন্য ধানের উৎপাদন না কমিয়ে ডালের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।’ 

তিনি বলেন, ‘এ বছর যেমন ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমরা সরিষা আবাদ বাড়াতে পেরেছি, তেমনি ডালের উৎপাদন বাড়াতেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। যাতে বছরে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল উৎপাদন করতে পারি, তাতে আমদানি নির্ভরতা অনেকটা হ্রাস পাবে।’

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন। 

সেমিনারে বারির ডাল গবেষণা কেন্দ্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডালজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দেশে মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৮ গ্রাম, আর মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকে।

বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, ‘ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব উচ্চফলনশীল জাতের চাষ ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হেক্টর প্রতি ফলন ২ দশমিক ৫ টনে উন্নীত করা সম্ভব হবে।’  

বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন,  সাবেক পরিচালক তপন কুমার দে, এসিআইএআরের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এমজি নিয়োগী, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএইচ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশুতোষ সরকার।

ঢাকা বিজনেস/এইচ 


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: [email protected]