আলাদা মন্ত্রণালয় চান পোশাক ও বস্ত্র শিল্প মালিকরা


ঢাকা বিজনেস ডেস্ক , : 09-03-2025

আলাদা মন্ত্রণালয় চান পোশাক ও বস্ত্র শিল্প মালিকরা

একক খাত হিসাবে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে পোশাক ও বস্ত্র খাত। এই খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও সরকারের তরফ থেকে কার্যকর নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে না। মূলত অতীতে একটি রাজনৈতিক দলের বিজিএমইএ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন প্রয়োজন বলে মনে করেন শিল্প মালিকরা। শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে পোশাক মালিকরা এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ নির্বাচনি জোট-ফোরাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা ও ইফতারের আয়োজন করে। এতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিগত দিনে তাদের সংগঠন বিজিএমইএ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়, যা দুঃখজনক। হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে নতুনরূপে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তারা বলেন, আগামী দিনে যারা বিজিএমইএর নেতৃত্ব দেবেন, তারা যাতে কেবল কার্ড বহনকারী পরিচালক হিসাবে পরিচিতি না পান। সংগঠনের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সরকারের সঙ্গে অঁাতাত নয়, দেশের স্বার্থে,  পোশাক খাতের জন্য কাজ করতে হবে। অন্যথায় এ শিল্প টিকবে না।

ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, নির্দষ্টি সময় পর্যন্ত নীতি সহায়তা দরকার পোশাক খাতের জন্য। এই খাত নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলে সব সময়। শ্রমিক অসনে্তাষের নামে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ শ্রমিকরা তাদের রুটি-রুজি নষ্ট করতে পারে না। একই সঙ্গে কাস্টমসের নিরীক্ষা হয়রানি থেকে উদ্যোক্তাদের রেহাই দিতে হবে। আর টেকসই নীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার।

ফোরাম মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, এরই মধ্যে বিজিএমইএতে প্রায় ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটি খুব লজ্জার। আমরা চাইব, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। মনে রাখতে হবে, এই খাত ছাড়া বাংলাদেশেরে অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যাবে না। আর বিজিএমইএ কোনো দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা যাবে না।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, ব্যবসা সরকার বোঝে না, সরকারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সংগঠন হিসাবে বিজিএমইএকে ভূমিকা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। মালিকরা খুব হতাশাভাবেই কাজ করছেন। সমস্যাটা সবার।

আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চেৌধুরী পারভেজ বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিজিএমইএতে দক্ষ নেতৃত্ব দরকার।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বহু বছরের জঞ্জাল থেকে মালিকরা রেহাই চান। নানা কারণে বিজিএমইএ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিগত দিনে। এবার একটি স্বচ্ছ ভোট হতে হবে ভাবমূর্তি ফেরাতে। তাছাড়া নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে কোনো কারখানা রুগ্‌ণ হতে পারে। কিন্তু কোনো মালিক বিপদে পড়লে তার এক্সিট নেই। একটি বিশদ এক্সিট পলিসি করতে হবে পোশাক খাতের জন্য। বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে ন্যায্য দর নিয়ে দরকষাকষি বাড়াতে হবে মালিকদের।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ মে বিজিএমইএ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তফশিল ঘোষণা করেছে। ২৪ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আর সাধারণ সদস্যদের চাঁদা পরিশোধের শেষ দিন ২৯ মার্চ।


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যারিস্টোক্র্যাটস (লেভেল-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৩২৯৬৮১৬২৫,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com