জার্মানিতে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রায় ছয় কোটি ভোটার আগামী চার বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এবারের নির্বাচন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ইউরোপীয় রাজনীতির ওপর। খবর: এপি, ডয়েচে ভেলে
নির্বাচনি জরিপে দেখা গেছে, মধ্য-ডানপন্থি দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক দল (সিডিইউ) ও তাদের বাভারিয়ান সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সামাজিক দল (সিএসইউ) এগিয়ে রয়েছে। তারা কট্টর ডানপন্থি জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি) দলটির তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ এগিয়ে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এএফডি ভালো ফল করলেও সিডিইউ-সিএসইউ এখনো সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও জনপ্রিয় চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে সিডিইউ-সিএসইউর নেতা ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এগিয়ে আছেন। তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (এসপিডি) ও ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেকের (সবুজ দল)জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণে।
এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তা সরাসরি সরকারের নেতৃত্ব পাবেন না। বরং তারা জোট গঠন করে সরকার পরিচালনার চেষ্টা করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলেরই লক্ষ্য, একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করা, যার মাধ্যমে দেশটির আগামী চার বছরের রাজনীতি পরিচালিত হবে।
জার্মানির নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ভোটার দুটি ভোট দেন। প্রথমে একটি সংসদ সদস্য এবং পরে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য। দ্বিতীয় ভোটের মাধ্যমে সংসদে দলগুলোর অনুপাত নির্ধারিত হয়। একটি দল যদি ৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পায়, তবে তারা সংসদে আসন পেতে সক্ষম হয়।