অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু মঙ্গলবার


ঢাকা বিজনেস ডেস্ক , : 09-12-2024

অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু মঙ্গলবার

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ। ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪ প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ইতোমধ্যেই প্রচারসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ করা হয়েছে। 

 শুমারির বিস্তারিত তুলে ধরেন জনশুমারি প্রকল্পের ডিপুটি প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পচিালক এস এম শাকিল আখতার। উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. হামিদুল হক, যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায় প্রমুখ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অর্থনৈতিক শুমারিতে ৭০টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার শুমারিই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিওকোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

মাঠ পর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগৃহীত সকল তথ্য উপাত্ত গোপন অবস্থায় থাকবে। যার মাধ্যমে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী একদিকে তথ্য সংগ্রহে শুমারি কর্মীদের সহযোগিতা করা অপরদিকে এই আইন দ্বারা জনসাধারণের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায় বলেন, শুমারির তথ্য-উপাত্তের গুণগতমান নিশ্চিত করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৩ ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসারগণ ও আইটি সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ এবং তৃতীয় ধাপে গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিবিএসের কর্মকর্তারা প্রতিটি ধাপে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবারের অর্থনৈতিক শুমারি তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য প্রচার-প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করা হচ্ছে।



উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com