দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে লাকড়ির চাহিদা। সঙ্গে বেড়েছে দামও। ক্রেতারা বলছেন, তারা অনেকে আগে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করতেন। গ্যাসের দাম বেড়েছে যাওয়ায় এখন লাকড়ির প্রতি ঝুঁকছেন। কিন্তু সেই লাকড়ির দামও বেড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, একমাস আগে প্রতিমণ শুকনো লাকড়ি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা মণ দরে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা।
এদিকে হোটেল মলিকেরা বলছেন, তারা স’মিলের লাকড়ি ব্যবহার করেন। স’মিলের লাকড়ির দামও বেড়েছে প্রতিমণে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আগে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। আর বিক্রেতারা বলছেন, লাকড়ি আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ বড় বড় গাছ ছাড়া কাটছে না। তাই লাকড়ির সরবরাহ কমে গেছে। দামও বেড়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) কথা হয় লাকড়ি কিনতে আসা মো. ফরিদ হোসেন সঙ্গে । তিনি বলেন, আমি গত মাসেও গ্যাস ব্যবহার করেছে। আমার এক সিলিন্ডার গ্যাস ৩০ থেকে ৪০ দিন যায়। তখন প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ছিল ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। আর এখন ১৫০০ টাকা। তাই লাকড়ি কিনতে এসেছি। কিন্তু লাকড়ির দামও তো আগের চেয়ে বেশি। আগে যে লাকড়ি কিনতাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা মণ দরে, এখন সেই লাকড়ি ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায়ী মো. আতোয়ার রহমান বলেন, হোটেলে বাজারে কেনা কম পরিমাণে লাকড়ি দিয়ে আমাদের চলবে না। আমরা বিভিন্ন জায়গার স’মিল থেকে একবারে বেশি পরিমাণে ৫০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত লাকড়ি কিনি। তিনি আরও বলেন, একমাস আগে স’মিলের প্রতিমণ লাকড়ি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে কিনেছি। এখন মণে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা মণ দরে কিনতে হচ্ছে। স’মিলের লাকড়ি যদিও একটু কাঁচা থাকে। হোটেলের চুলাগুলো বড় বলে জ্বালাতে কষ্ট হয় না। তবে স’মিলের লাকড়ি বাসা-বাড়িতে ব্যবহার করা যায় না। স’মিলের লাকড়ির সাইজ আকারে অনেক বড়।
খুচরা লাকড়ি বিক্রেতরা ও স’মিল মালিকেরা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, মানুষ আর আগের মতো ছোট গাছ কেটে লাকড়ি বিক্রি করেন না। বড় বড় ঝঁকিপূর্ণ গাছ বা ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ কেটে লাকড়ি বিক্রি করেন। তাই লাকড়ির সরবরাহ কমেছে। আমাদের বেশি দাম কিনতে হচ্ছে। আবার বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।