মাত্র ১৮৫ রান। এই রান হলেই রাওয়ালপিন্ডিতে আরেকটি টেস্ট জয়ের স্বাদ পাবে সফরকারী বাংলাদেশ। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে গেছে ১৭২ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিডসহ তাদের সংগ্রহ ১৮৪। কাঙ্খিত জয় পেতে টাইগারদের করতে হবে ১৮৫।
প্রথম টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও জয়ের সুবাস পাচ্ছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। লাঞ্চ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ১১৭, লিড ১২৯ রানের। লাঞ্চের পর রিজওয়ান এবং সালমান দুজনে মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ভূগিয়েছেন। ১৩৬ রানের মাথায় ফিরে যান রিজওয়ান, করেন ৪৩ রান। হাসান মাহমুদের পরের বলেই নাজমুলকে শূন্য রানে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আলী। নবম উইকেটটি নেন নাহিদ রানা। আবরার আহম্মেদ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ২ রান করে, দলের রান তখন ১৪৫। তবে দশম উইকেট জুটিতে সালমান দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। মেরে কেটে খেলে ৪৭ করে অপরাজিত তিনি। অপরপ্রান্তে ছিলেন মির হামজা। তিনি আউট হয়ে যান ৪ রান করে। মিরাজ ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদের বলে।
মির হামজার উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানা পেয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি একটি উইকেট নিজের করে নেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ৯ রান তুলতেই দুই উইকেট খুইয়েছিল পাকিস্তান। ৪৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। সাইম আইয়ুকে শান্তর ক্যাচ বানান পেসার তাসকিন, করতে পারেন ২০ রান। শান মাসুদকে লিটনের ক্যাচ বানান নাহিদ রানা, পাকিস্তানের রান তখন ৬২, শান করেন ২৮ রান। ঠিক ৩ রান পরে অর্থ্যাৎ ৬৫ রানে বাবর আজমকেও ওই লিটন-নাহিদ রানার কম্বিনেশনে ফিরে যেতে হয়। বাবর নিতে পারেন ১১ রান। ৮১ রানে পড়ে ৬ষ্ঠ উইকেট, সাউদ শাকিলও (১০ বলে ২ রান) ফিরে যান নাহিদ রানার বলে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটের মহিমা এখানেই। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়। রবিবার সকালে যে বাংলাদেশ চাপা পড়েছিল ধবংসস্তুপে। বিকেলে সেই বাংলাদেশ লড়াই করছে সমান সমান। মৃত্যুকূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন লিটন দাস। করেছেন অনবদ্য ১৩৮ রান। তিনি প্রমান করলেন, ‘ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। লিটনের সঙ্গে ছিলেন আরেক অলরাইন্ডার সারথী- মেহেদী হাসান মিরাজ; তিনি করেছেন ৭৮ রান।
প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক পাকিস্তানের চেয়ে ১২ রান পিছিয়ে থেকে শেষ হলো টাইগারদের ইনিংস। ২৬ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২৬২ পর্যন্ত টিকে থাকা এক অবিসংবাদিত যুদ্ধই বলা চলে। সেই যুদ্ধে আপাত সফল বাংলাদেশের টেল এন্ডাররা।
আশার কথা হলো- এই টেস্ট ড্র হলেও সিরিজ বাংলাদেশের। টাইগার ভক্তদের প্রত্যাশা- আরেকটা জয় নিয়ে, ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরুক নতুন বাংলাদেশ! পাকিস্তানের ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায় বলা চলে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ।