আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম


ঢাকা বিজনেস ডেস্ক , : 28-08-2024

আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)। এর আগের তিন দিনে পণ্যটির দাম বেড়েছিল ৭ শতাংশের বেশি। সে সময় বাজারে প্রভাবক হয়ে উঠেছিল মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও লিবিয়ায় জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ক্ষেত্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। সেখান থেকে গতকাল আবার নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। খবর রয়টার্স।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম গতকাল আগের দিনের তুলনায় ৩০ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নেমেছে ৮১ ডলার ১৩ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলে ৪০ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নেমেছে ৭৭ ডলার ২ সেন্টে।

এ বিষয়ে আইজির মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ইয়েপ জুন রং বলেন, ‘‌মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সরবরাহ ঝুঁকি ও লিবিয়ায় উত্তোলন বন্ধের আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফন হয়েছিল। এ খাতের বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।’ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার কমাতে পারে এ প্রত্যাশাও পূর্ববর্তী তিনদিনে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছিল। সে সময়ে ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৭ দশমিক ৬ ও ব্রেন্টের দাম ৭ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি সপ্তাহের শেষে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কায়ও দাম বেড়েছে। এছাড়া প্রধান জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশ লিবিয়ার উত্তোলন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার স্থানীয় প্রশাসন জানায়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানি বন্ধ করে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, এ অঞ্চল থেকেই দেশটির বেশির ভাগ জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হয়। যদিও উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্যটি লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার বা দেশের তেলসম্পদ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশন (এনওসি) নিশ্চিত করেনি।

ভার্টেক্সা বিশ্লেষক সেরেনা হুয়াং বলেন, ‘‌এর আগে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীনে নিম্নমুখী চাহিদার কারণে দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু লিবিয়ার জ্বালানি তেল উত্তোলন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরবরাহ কমে যাবে। এতে দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।’

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তোলন কমাচ্ছে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস। এমনকি সম্প্রতি উত্তোলন কমিয়ে আনার নীতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সংস্থাটি। তবে অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর নীতি ধীরে ধীরে শিথিল করার পরিকল্পনাও জানানো হয়েছে। বাজারের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিকল্পনা স্থগিত কিংবা উত্তোলন আবারো কমিয়ে দেয়ার মতো সিদ্ধান্তও আসতে পারে। 

ওপেক প্লাস বর্তমানে দৈনিক ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল হারে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে তৈরি আশঙ্কা এবং ওপেক প্লাসবহির্ভূত দেশগুলোর সরবরাহ বাড়ায় ২০২২ সালে বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় সংগঠনটির সদস্যদেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনছে তারা।


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যাসোসিয়েটস (সি-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১৫১১৯৪৪৪,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com