দিনাজপুরের হিলিতে লাগামহীন হয়ে উঠেছে সবজির বাজার। প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সব শ্রেণীর মানুষ। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, বিক্রেতারা কখনো খরা আবার কখনো বন্যার অজুহাতে বাজারে সরবরাহ কমেছে, এমন কথা বলে দাম বেশি নিচ্ছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বাজারে কমেছে সবজির সরবরাহ। এ কারণে প্রতিটি দামও দ্বিগুণ বেড়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) হিলিবাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মো. জোবায়ের হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে আসলেই বাজেট ফেল হয়ে যাচ্ছে। বাজারের লিস্ট করে , যে পরিমাণ টাকা নিয়ে আসছি, তা দিয়ে অর্ধেক বাজারও করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন বাজারে সবজির দাম বাড়ছে। সোমবার (১৫ জুলাই) প্রতিকেজি বেগুন কিনি ৬০ টাকা কেজি দরে। আর দুই দিন পর বুধবার (১৭ জুলাই) প্রতিকেজি বেগুন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের লাউ কিনতাম ৪০ টাকা দিয়ে। আজ সেই সাইজের লাউয়ের দাম হাঁকছে ৮০ টাকা। এভাবে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে।’
আরেক ক্রেতা মোছা. আফরোজা বেগম বলেন, ‘স্বামী কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি সংসারের সব খরচ করি। কিন্তু কিছুদিন ধরে সবজির বাজার লাগামহীন হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। কাঁচাবাজারে এলেই চোখ কপালে উঠে যায়। আলু, বেগুন, লাউ, কাঁচামরিচ, করলা; সবকিছুর দামই বেড়েছে।’
আফরোজা বেগম আরও বলেন, ‘গেলো বুধবার (১০ জুলাই) করলার কেজি ছিল ১২০ টাকা। আর আজ বুধবার (১৭ জুলাই) প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। মাছ, মুরগি, ডিমের বাজারেও একই অবস্থা।’
হিলিবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. হাসান আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় তেমন বন্যা হয়নি। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। যেটুকু উৎপাদন হচ্ছে, সেসব কাঁচাসবজি বাইরে থেকে পাইকাররা এসে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই স্থানীয় বাজারে কমেছে সবজির সরবরাহ। এ কারণে প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। ক্ষেতে উৎপাদন বাড়লে, বাজারেও সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম আবার কমে আসবে।’