পদ্মা সেতুকে ‘গর্বের প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশকে যথাযথ মূল্যায়ন করছে। এখন বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ সমীহ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মান পেয়েছে।’ শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’ কাজের সমাপনী উপলক্ষে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গত দু’বছরে পদ্মা সেতুর টোল প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবার মত তারও সন্তুষ্টি ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি টাকার অঙ্ক দিয়ে এটা বিচার করবো না। কারণ এই সেতু আমাদের গর্বের সেতু। এটা টাকার অঙ্ক দিয়ে বিচার করার নয়।’
বিশ্বব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এই একটা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অন্তত সেই মর্যাদা দিয়েছে, আগে যারা কথায় কথায় আমাদের ওপর খবরদারি করতো, আর ভাবখানা ছিল এরা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারে না, সেই মানসিকতাটা বদলে গেছে। মানুষ এখন গর্ব করে আন্তর্জাতিকভাবে বুক ফুলিয়ে চলতে পারে। এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, সফল হয়েছে এবং আমরা এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।’