চার বছরে মশক নিধন কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সফল হয়েছে জানিয়েছেন এই সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তখন সারাদেশে রোগী ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন। যা সারাদেশের মোট রোগীর মাত্র ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফলে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৯ মে) নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির কার্যক্রম তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে আমরা সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেই। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ৬ জুন আমরা বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে সূচি অনুযায়ী সারা বছরই আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। পূর্বে ৪২৪ জন মশককর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বর্তমানে ১ হাজার ৫০ জন মশককর্মী ও মশক সুপারভাইজার নিয়মিতভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিও বৃদ্ধি করেছি।’
মেয়র বলেন, ‘কোনো ওয়ার্ডে সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলে সে ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কর্মপরিকল্পনা রয়েছে সেটি ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কেউই এরকম পরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কিন্তু আমরা সেটি করেছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কর্মপরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য ১ হাজারেরও অধিক জনবল থাকা প্রয়োজন সেটি আমার রয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে সাতজন এবং বিকেলে ছয়জন মশক-কর্মী গিয়ে যেখানে মশা বেশি থাকতো সেখানে ওষুধ ছিটাতো। প্রত্যেকটা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাসায় আমার মশক-কর্মীরা গিয়েছে।’
তাপস বলেন, ‘আগে কীটনাশকের মান নিয়ে কথা আসলেও এখন কিন্তু কীটনাশক নিয়ে আর কোনো কথা শোনা যায় না। আমরা কীটনাশকের মান ধরে রেখেছি। আমাদের সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে।’