ভারতের চালানো মধ্যরাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬-এ পৌঁছেছে। বুধবার সকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি আরও জানান, হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন। খবর প্রকাশ করেছে ডন।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর জেলার পূর্ব আহমেদপুর এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে নিহত হয়েছেন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একটি ২-৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা এবং সাতজন নারী।
মুজাফফরাবাদের কাছে বিলাল মসজিদে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুটি শিশু। একইদিনে কোটলি জেলার একটি মসজিদে চালানো হামলায় নিহত হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ। সেখানে আহত হয়েছেন এক মা ও তাঁর কন্যা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরীফ আরও জানান, পাঞ্জাবের মুরিদকেতে উম্মালকুড়া মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। তবে শিয়ালকোট ও শকরগড়ে চালানো হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে এক শিশু (বয়স পাঁচ) সহ আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি ভারতীয় হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ভারত ধর্মীয় উপাসনালয়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এটি মোদীর হিন্দুত্ববাদী সরকারের সংকীর্ণ ও মুসলিম-বিদ্বেষী মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।”