শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষিত পানিসহ অন্যান্য বর্জ্য যাতে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলতে না পারে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শীতলক্ষ্যা নদীর পানিদূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, কেন নদীটির পানি দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, কেন দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নদীদূষণের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
শীতলক্ষ্যার পানিদূষণ বন্ধে ও অবৈধভাবে নদী দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী গত ২৪ এপ্রিল রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আদেশের বিষয়টি জানিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি কী পরিমাণ দূষিত হয়েছে এবং ক্ষতি হয়েছে, তা অর্থে নিরূপণ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।