ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া একাধিক ছবির মধ্যে সিয়াম আহমেদ অভিনীত 'জংলি' যেন আপন বৈশিষ্ট্যেই আলাদা হয়ে উঠেছে। টিজার দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন এটি হয়তো অ্যাকশন কিংবা থ্রিলার ঘরানার ছবি। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকেরা পেয়েছেন ভিন্ন অভিজ্ঞতা—যা তাদের আবেগ ছুঁয়ে গেছে অন্তর থেকে। অনেকেই ছবি দেখে বেরিয়েছেন চোখ ভেজা মুখে, কারও চোখে-মুখে ছিল নীরব কান্নার ছাপ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘জংলি’ দেখে সিনেমা হলেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দর্শক। কেউ কেউ সন্তান দত্তক নেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন ছবির প্রভাবেই। শুধু সাধারণ দর্শকই নন, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই সিনেমাকে। বিশেষ করে শিশুশিল্পী নৈঋতার অভিনয় মুগ্ধ করেছে সবার মন। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী কিংবা দীঘির মতো শিল্পীদের ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই ছোট্ট শিল্পী।
পরিচালক, প্রযোজকসহ সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অনেকে মন্তব্য করেছেন, 'জংলি' সিনেমাটিকে এগিয়ে নিয়েছে নৈঋতা। কেউ কেউ তো একে 'সিনেমার অক্সিজেন' বলতেও ছাড়েননি।
এমন সময়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এই ক্ষুদে তারকা। জানা গেছে, বর্তমানে ক্লাস ফোরে পড়ুয়া নৈঋতা থাকছে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে। এর আগে কয়েকটি টিভিসি ও ফটোশ্যুটে অংশ নিলেও ‘জংলি’র মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার।
সিনেমায় অভিনয়ের পেছনের গল্পটা জানাতে গিয়ে নৈঋতা বলে, “মা আমার অভিনয়ের খুব একটা প্রশংসা করে না। তাই প্রথম অডিশনে বাবা নিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়বার মা। সেদিন অডিশনের পর রাহিম আঙ্কেলরা মনে করেছিলেন, আমি পারবো। তারপরই জানানো হয়, আমি সিলেক্টেড।”
তবে সিনেমা নিয়ে নিজের বিশেষ আগ্রহ নেই বলেই জানায় নৈঋতা। তার ভাষ্য, “আমি খুব একটা সিনেমা পছন্দ করি না। কিন্তু মা চায় আমি নিয়মিত অভিনয় করি।”
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে জানায়, “অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একদিন হাত আঘাত পাই, আবার একদিন পায়ের নখ ভেঙে যায়। প্রচণ্ড গরমে রাতজেগে শুটিং করতে হয়েছে। কিন্তু সবাই খুব কেয়ার করেছে আমাকে। তাই কষ্ট হলেও ভালো লেগেছে।”
তবে এখনো নিজের অভিনীত ছবি দেখতে পারেনি সে। যুক্তরাজ্যে ছবিটি মুক্তি পেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হলে গিয়ে দেখার পরিকল্পনা করেছে ছোট্ট নৈঋতা।