দিনাজপুরের হিলিতে কোনো বিনোদন পার্ক না থাকায় হিলি রেলস্টেশনকে বিনোদন পার্ক হিসেবে ব্যবহার করছেন দূরদুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীসহ স্থানীয়রা। প্রতিদিন বিকেল হলেই স্টেশনে অবসর সময় পার করতে আসেন তারা। স্থানীয়রা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনাথীরা আসেন হিলিতে।
স্থানীয়রা বলছেন, অন্যদিন কম হলেও ছুটির দিন শুক্রবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হয়। আর রেলওয়ে পুলিশ বলছে, হিলি রেলস্টেশনে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সর্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়ে।
স্থানীয় পালপাড়া গ্রামের মো. ওয়াহেদুর রহমান বলেন, সারাদিন কাজ শেষে আমরা বন্ধ-বান্ধবরা একটু স্টেশনে বেড়াতে এসেছি। হিলিতে বিনোদনের জন্য উপযুক্ত কোনো জায়গা না থাকায় আমরা এখানে আড্ডা দেই। এলাকাটিও নিরিবিলি। তাই স্থানীয়রা স্টেশনে অবসর সময় কাটাতে আসেন।
শুক্রবার বিকেলে হিলি রেলস্টেশনে কথা হয়, বগুড়া থেকে আসা মো. তানভিল আহম্মেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি একটি বে-সরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। অনেক দিনের সখ ছিল হিলিতে গিয়ে কেনাকাটা করবো। তাই পরিবার নিয়ে হিলিতে এসেছি। কেনা কাটা শেষ।
তানভির আহম্মেদ আরও বলেন, হিলিতে যখন এলাম। তাই একটু ঘুরে ঘুরে দেখছি। জিরো পয়েন্ট দেখলাম, পানামা পোর্ট দেখলাম। শেষে এসেছি হিলি রেলস্টেশনে। এখানকার পরিবেশ বেশ নিরিবিলি। কোনো ঝামেলা নেই। স্টেশন ঘেঁষেই সীমান্ত। দেখে বেশ ভালো লাগলো।
হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহাজাহান মিয়া ঢাকা বিজনেসকে বলেন, হিলি রেলস্টেশনে প্রতিদিন বিকেলে দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় হয়। স্থানীয় ছাড়াও দূরদুরান্ত থেকে কেউ বাইক নিয়ে আবার কেই সিএনজিচারিত অটো নিয়ে বেড়াতে আসেন।
শাহাজাহান মিয়া আরও বলেন, দর্শনার্থীরা যেন বেড়াতে এসে নিরাপাদে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য সবসময় রেলওয়ে পুলিশ সজাগ দৃষ্টি রাখে।