আর মাত্র ৬৩ রান। তাহলেই রাওয়ালপিন্ডিতে দেখা যাবে আরেকটি উল্লাস। মঞ্চ প্রায় তৈরি হয়েই আছে। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের ময়দানে টিকে থাকলেই পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে করা হবে বাংলাওয়াশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর আরেকটি টেস্ট জয়; বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২ উইকেটে তুলেছে ১২২ রান। লাঞ্চ বিরতির পর দরকার ৬৩ রান। টার্গেট ১৮৫।
আগের দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৪২। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের রান যখন ৫৮ তখন আউট হয়ে যান জাকির হাসান। ওয়ানডে স্টাইলে ৩৯ বলে ৪০ করেন তিনি। মির হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার সাদমান অনিক ফিরে যান ৭০ রানে, তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫১ বলে ২৪। শান্ত এবং মমিনুল জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। তারা যথাক্রমে ৩৩ এবং ২০ রানে অপরাজিত।
এর আগে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে গেছে ১৭২ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিডসহ তাদের সংগ্রহ ১৮৪। কাঙ্খিত জয় পেতে টাইগারদের লক্ষ্য ছিল ১৮৫। আলোকস্বল্পতা এবং বৃষ্টিতে ৪৬ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল দিনের খেলা।
প্রথম টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল টিম টাইগার। মনি কাঞ্চন যুগে যেন পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। দ্বিতীয় টেস্টেও জয় এখন কাছেই মনে হচ্ছে। এক সময়ের অজেয় পাকিস্তানকে এবার বাংলা ওয়াশের অপেক্ষা।
টেস্ট ক্রিকেটের মহিমা এখানেই। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়। রবিবার সকালে যে বাংলাদেশ চাপা পড়েছিল ধবংসস্তুপে। বিকেলে সেই বাংলাদেশ লড়াই করেছে বুক চিতিয়ে। মৃত্যুকূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন লিটন দাস। করেছেন অনবদ্য ১৩৮ রান। তিনি প্রমান করছেন ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। লিটনের সঙ্গে ছিলেন আরেক অলরাউন্ডার সারথী- মেহেদী হাসান মিরাজ; তিনি করেছেন ৭৮ রান। দুজনে রেকর্ড ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক পাকিস্তানের চেয়ে ১২ রান পিছিয়ে থেকে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। ২৬ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২৬২ পর্যন্ত টিকে থাকা এক অবিসংবাদিত যুদ্ধই বলা চলে। সেই যুদ্ধে আপাতত সফল বাংলাদেশের টেল এন্ডাররা। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অল আউটে অবশ্যই বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে।
তবে টাইগার ভক্তদের প্রত্যাশা, আরেকটা জয় নিয়ে, ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরুক নতুন বাংলাদেশ!