রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সমান বিন্দুতে। কেউ এগিয়ে নেই, নেই পিছিয়েও। আর একটি উইকেট পেলে এগিয়ে যেতো বাংলাদেশ। অন্যদিকে আরও ২০/২৫ রান বেশি করলে এগিয়ে থাকতো স্বাগতিক পাকিস্তান।
সার্বিক বিচারে সফরকারী বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৮ রান তুলে ভালো অবস্থানে স্বাগতিকরা।
প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলে পাকিস্তান। ৪১ ওভারে তারা ওই রান করে। রান তোলার গতি বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থায় স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে দুর্দান্ত এক সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশের পেসাররা। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে দলীয় ৩ রানের মাথায় ফেলে দেয় প্রথম উইকেট। দলকে আর্লি ব্রেকথ্রো এনে দিয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। ১৬ রানেই নেই পাকিস্তানের ৩ উইকেট।
প্রথম উইকেট হাসান মাহমুদ নিলেও পরের দুটি নিজের ঝুলিতে ভরেছেন শরিফুল। পেসারদের কল্যাণে অনেক দিন পর টেস্টে ভালো একটা সূচনা দেখল টাইগারভক্তরা।
বৃষ্টির কারণে টস দেরিতে হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় (স্থানীয় সময় বেলা ২ টা) টস হয়। তাতে জয়ী হন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিন, ওদিকে টানা ৫ দিনই বৃষ্টির শঙ্কা; তাই টস জিতে ফিল্ডিংই ছিল সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। হয়েছেও তাই।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচ। চতুর্থ ওভারে দলীয় মাত্র ৩ রানের মাথায় বিদায় নেন পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আব্দুল্লাহ শফিক। ১৪ বল খেলে ২ রান করেন তিনি।
হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচটি নিয়েছেন জাকির হাসান। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলের ঘটনা সেটি।
৭ম ওভারের শেষ বলে ওয়ানডাউনে নামা শান মাসুদকে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরিফুল ইসলাম। দলের রান তখন ১৪। শরিফুলের বলে ক্যাচ নেন উইকেট কিপার লিটন দাস। নিজের পরের ওভারে, দলীয় ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ঠিক একইভাবে বাবর আজমকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল, ক্যাচ ধরেন সেই লিটন। দলের রান সেসময় ১৬। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো কিছুর প্রত্যাশায় ছিল টাইগাররা।
তবে সউদ সাকিল ও ওপেনার সাইম আইয়ুবের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান।
এর আগে খুব সাবধানে খেললেও ১৪তম ওভার থেকে তারা চড়াও হন বোলারদের ওপর। সে সময় মিরাজ তার প্রথম ওভারে দিয়ে বসেন ১১ রান। ৩১.১ ওভারে দলীয় ১১৪ রানে গিয়ে আউট হন সাইম আইয়ুব। ততক্ষণে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন ৫৬ রানে (৯৮ বল)। হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ নিয়েছেন মিরাজ।
প্রথম দিনের খেলা শেষ হয় ৪১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৫৮/৪।
সাকিব ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৪ রান। মিরাজ দুই ওভারে দিয়েছেন ১২। নাহিদ রানা ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
৪ উইকেট সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল। রাওয়ালপিন্ডির উইকেট যে পেস সহায়ক হবে তা আগেই জানা গিয়েছিল, যখন পাকিস্তান একাদশে ৪ পেসার রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। শরিফুল ১২ ওভারে ৪ মেডেনসহ দিয়েছেন ৩০ রান। হাসান মাহমুদ ১৩ ওভারে ৩ মেডেনসহ দিয়েছেন ৩৩ রান।
ভিন্ন দুটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা এবং মাঠ সংস্কার ইস্যুতে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতেই হচ্ছে দুটি টেস্ট।