নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হলো নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর সাতটায়, শেষ হয় রাত এগারোটায়।
ভোরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ১৯৭০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ এই সময়ের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি এলাকার প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর সকাল দশটা থেকে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সঞ্চালক ছিলেন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন পরিষদের সহ অর্থ-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিক উল্যাহ ও অন্বেষা তাবাসসুম। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি নুরুল আনোয়ার বকুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উৎযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছানা উল্যাহ বি.কম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিবিআই ইন্সপেক্টর ও উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা আবু জাফর মো. ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. কামাল উদ্দিন, চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ঢাকা বিজনেসের বার্তা সম্পাদক, কবি, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ নূরুল হক, লতিফপুর আলহাজ আবদুল জলিল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএসএম ফসিউল আলম, স্বাস্থ্য সহকারী ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মো. নবী আলম, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (সুমন) প্রমুখ।
এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথি, ১৯৭০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও উপজেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিড়িয়ার সাংবাদিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
ঢাকা বিজনেস/এনই/