পদোন্নতিসহ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বগুড়া শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন


বগুড়া প্রতিনিধি , : 26-09-2023

পদোন্নতিসহ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বগুড়া শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহম্মেদ।

লিখিত বক্তব্যে ফারুক আহম্মেদ বলেন, 'দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরের শিক্ষা দেওয়া, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যন্ত শিক্ষা ক্যাডারের পরিধি বিস্তৃত। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের নবম গ্রেডের উপরে সব পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা বাদে অন্য কারও পদায়নের সুযোগ নেই। উপরন্তু আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২ টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি সুস্পষ্টতই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই নিয়ম বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।'

ফারুক আরও বলেন, 'মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের পদ অপরিহার্য। অথচ বর্তমান সরকারি কলেজসহ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার। শিক্ষার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতে ১২ হাজার ৪৪৪ টি পদের প্রস্তাব আটকে আছে দীর্ঘ ৯ বছর। শিক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ৪র্থ প্রেডের উপর কোন পদ নেই। অন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পান। কিন্তু শিক্ষা ক্যডারে সর্বোচ্চ পদ অধ্যাপক পদটি চতুর্থ গ্রেড হওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ নেই। চতুর্থ গ্রেডেই আটকে থাকছেন। অধ্যাপক পদটি তৃতীয় প্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও ২য় গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।' 

ফারুক আহম্মেদ আরও বলেন, 'দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো শিক্ষা। প্রশাসনসহ অন্যান্য সেক্টরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস রয়েছে। কিন্তু জেলা ও উপজেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনের জন্য শক্তিশালী শিক্ষা প্রশাসন গড়ে ওঠেনি। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।'

এসময় ফারুক জানান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে। শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা ৩ দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এসময় সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এ টি এম মাহবুবুল হান্নান, সরকারি বগুড়া মজিবর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জোহরা ওয়াহিদসহ বগুড়ার ৯টি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিজনেস/আলমগীর/এন


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যারিস্টোক্র্যাটস (লেভেল-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৩২৯৬৮১৬২৫,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com