ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন মহাসড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়। এই মহাসড়কটি চালু হলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে।’
সোমবার (২৪ জুলাই) আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক গভীর। তাই আমরা দ্রুত প্রকল্পের কাজটি শেষ করতে চাই। যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত এই প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারেন। সেজন্যই আমি প্রকল্পেরে কাজ দেখতে এসেছি। আমরা সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেবো।’
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খালেদ সাহিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেনের জাতীয় মহাসড়কের উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় র্নিধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় তিন দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আজহার/এইচ