ভাড়া ভবনেই যুগ পার ক্ষেতলাল পৌরসভার


আল-কারিয়া চৌধুরী, জয়পুরহাট , : 09-04-2023

ভাড়া ভবনেই যুগ পার ক্ষেতলাল পৌরসভার

প্রতিষ্ঠার একযুগ পার হয়ে গেলেও নিজস্ব ভবন হয়নি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার। দীর্ঘ  ১২ বছর ধরেই ভাড়া ভবনে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। অথচ পৌরসভার নিজস্ব ভবনের  জন্য কেনা হয়েছে জায়গা, আছে ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় বরাদ্দও।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষেতলাল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচতলায় পৌর মেয়রের কক্ষ, কাউন্সিলরদের কক্ষ, প্রকৌশলী শাখা, হিসাব শাখা, কর শাখা আর দ্বিতীয় তলায় লাইসেন্স শাখা, প্যানেল মেয়রের কক্ষ, সাধারণ শাখা ও স্বাস্থ্য শাখা রয়েছে। মেয়রের কক্ষসহ প্রতিটি কক্ষই ছোট।  

ক্ষেতলালকে ২০১০ সালে পৌরসভা ঘোষণা করে সরকার। ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন মিঞাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বদলির পর শাহানা আক্তার জাহান প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের ৮ জুলাই মেয়র নির্বাচিত হন আবদুল মান্নান মোল্লা। ২০১৭ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়।

২০১৭ সালের নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম বুলু মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ক্ষেতলাল পৌরসভার নামে ক্ষেতলাল সদর মৌজার ফকিরপাড়া মহল্লায় ৫৫ শতক জায়গা কেনেন। ২০১৯ সালে সেখানে ভবন নির্মাণের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে সেটি বাতিল করে আবারও দরপত্র আহ্বান করা হয়। শেষপর্যন্ত এই দরপত্রও বাতিল করা হয়।

এদিকে, ২০২২ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিরাজুল ইসলাম সরদার মেয়র নির্বাচিত হন। এই মেয়রের পরিষদ ওই জায়গাতে চলাচলের রাস্তা না থাকায় পৌরভবন নির্মাণে আপত্তি জানায়।

ক্ষেতলাল পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খলিলুর রহমান কাজী বলেন, ‘পৌরভবন নির্মাণের জন্য যে জায়গা কেনা হয়েছে, সেখানে জনসাধারণের চলাচলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তার অবস্থা বেহাল। তাই ভাড়া ভবনেই দাপ্তরিক কাজ করা হচ্ছে। এই স্বল্প পরিসরের জায়গায় কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আফতাব হোসেন বলেন, ‘সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলুর সময় পৌর ভবনের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সেই দরপত্রে একজন ঠিকাদার অংশ নিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয় সেই দরপত্র বাতিল করে। এরপর আবারও দরপত্র আহ্বান করলে মন্ত্রণালয় সেটিও বাতিল করে। তৃতীয় দফায় আবারও দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো সময় কার্যাদেশ দিয়ে ভবনের কাজ শুরু করা যাবে। তবে ওই জায়গায় চলাচল নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

ক্ষেতলাল পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘সাবেক মেয়র পৌরসভার জন্য যে জায়গা কিনেছেন,  সেখানে আসা-যাওয়ার রাস্তা নেই। জমির সামনে ও পাশে ডোবা। তাই সেখানে ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়। এ জন্য ভালো জায়গা দেখা হচ্ছে। নতুন জায়গা কেনার পর সেখানে পৌর ভবন নির্মাণ করা হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 


উপদেষ্টা সম্পাদক: সামছুল আলম
সম্পাদক:  উদয় হাকিম
প্রকাশক: লোকমান হোসেন আকাশ



কার্যালয়: বসতি অ্যারিস্টোক্র্যাটস (লেভেল-৩), প্লট- ০৬,
ব্লক- এস ডব্লিউ (এইচ), গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৩২৯৬৮১৬২৫,
ইমেইল: dhakabusines@gmail.com