শীতের শেষে এখন গরমে সবাই বিরক্ত। বেশিরভাগ অফিসেই ও বাসায় চলছে এসি। আবার গত কদিন ধরেই এসি বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটছে। শীতকালে এসি অচল থাকার পর গরমের শুরুতে যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন ছাড়াই চালানো হচ্ছে এসি। আর এতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে অন্তত তিনবার, বিশেষকরে শীতের শেষে এসি রক্ষনাবেক্ষনের জরুরি। দুর্ঘটনা এড়াতে এসি বিস্ফোরনের কারণ ও ব্যবহারের সতর্কতা সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন, জেনে নেই।
বিস্ফোরণের কারণ
ইলেক্ট্রিক হাই ভোল্টেজের কারণে এসির কম্প্রেসারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এতে বিস্ফোরণের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এসির কম্প্রেসারের মধ্যে বার্নেবল গ্যাসের ব্যবহারের কারণেও ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। এসির যন্ত্রপাতি গরম হয়ে ওভারহিটিং এর কারণে এসি বিস্ফোরিত হতে পারে। অফিসে কিংবা ঘরে এসির লাগানোর সময় ওয়্যারিং এ কোনো সমস্যা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসির ভেতরে থাকা কমপ্রেসর পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে হাইপ্রেশার তৈরি হয়। এর ফলে কমপ্রেসার বিস্ফোরণ হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণ অর্থাৎ বজ্রপাতের সময় এসির সুইচ অন থাকলেও এসির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। এজন্য সঠিকভাবে এসির রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি।
এসি ব্যবহারে সতর্কতা
এয়ার কন্ডিশনারকে ক্ষতি ও বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
১. এয়ার কন্ডিশনারের এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কোনো ময়লা যেন জমাট বাধতে না পারে। তাই প্রতি মাসে অন্তত একবার এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত।
২. নিয়মিত এসির ফ্যান, কয়েল ও কন্ডেন্সার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।
৩. একটানা অনেক সময় এসি চালিয়ে রাখা যাবে না।
৪. এসির ইউনিট বা ফ্যান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
৫. ঘরের ইলেকট্রিক ভোল্টেজ কম হলে এসির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এসি স্থাপনের আগে অবশ্যই বাসার ইলেকট্রিক ভোল্টেজ চেক করে নিতে হবে।
৬. এসির পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, টেকনিশিয়ান দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হবে।
৭. হাই ভোল্টেজ এড়াতে বাড়িতে ভালো মানের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করতে হবে।
৮. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক মানের এয়ার কন্ডিশনার ক্রয় করতে হবে।
৯. বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় এসি না চালানোই ভালো।
১০. দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকলে চালু করার আগে ভালো সার্ভিস এক্সপার্টকে দিয়ে আগে এসি পরীক্ষা করতে হবে। এরপর ব্যবহার করতে হবে।
ঢাকা বিজনেস/এন/