ইন্দোনেশিয়ার নাতুনা অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। এতে ৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার (৬ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ চীন সাগর তীরবর্তী এই অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আল-জাজিরার একটি প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা যায়।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে সেরাসান দ্বীপের বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভূমিধস এবং ঘরবাড়ির ওপর মাটি ও ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
নাতুনা তল্লাশি ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান আবদুল রহমান বলেছেন, ‘সর্বশেষ ৫০ জনের নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে এবং মারা গেছেন ১৫ জন।’
এদিকে ভূমিধস ও বৃষ্টির কারণে ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে বিএনপিবি টুইটারে জানিয়েছে। এছাড়া বোর্নিও দ্বীপ ও মালয়েশিয়া উপদ্বীপের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সংস্থার আরেক মুখপাত্র জুনাইনাহ জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। বাতাস এখনো জোরে জোরে বইছে। জোয়ারের কারণে ঢেউও বেশি হচ্ছে।’
সোমবার বিকেলে ৬০ জনের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়। নৌকায় সেখানে পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগার কথা রয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরুও নাগরোহো মঙ্গলবার রাতে বলেছেন, সুকাবুমি জেলার সিনারেসমি গ্রামে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ভূমিধসে গ্রামের ৩০টি বাড়ি চাপা পড়েছে। এতে মাটি ও পাথরের নিচে বেশকিছু লাশ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা লাশগুলো উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপিবি’র মুখপাত্র আবদুল মুহারী বলেছেন, লজিস্টিক সরবরাহ দ্রুত করতে মঙ্গলবার হেলিকপ্টার পাঠানো হবে।
ঢাকা বিজনেস/এম