ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় তাকে (ফুলপরীকে) অধিকতর নিরাপত্তা বিধান ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান এই চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মোবাইল বার্তার আদেশে এই চিঠি পাঠানো হয়।
পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে পৃথক দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর অনুলিপি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছেও আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এই চিঠিতে ফুলপরীকে যেকোনো ছাত্রী হলে তার পছন্দমতো সিটে তুলে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এর আগে দুপুরে হাইকোর্টের নির্দেশে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। বুধবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর দ্রুত তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া আজ দুপুরে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ ছাত্রীকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনাটি নিয়ে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কয়েক দফা নির্দেশসহ আদেশ দেন।